রাশিদুল ইসলাম: [২] যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ব্যক্তিগতভাবে বাইডেনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তার ভবিষ্যত নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। ডেমোক্রেটদের পরামর্শে তারা দুজন বাইডেন নিয়ে আলোচনা করেন। ওবামা ও পেলোসি মনে করছেন ট্রাম্পকে পরাজিত করা বাইডেনের পক্ষে সত্যিই কঠিন হবে। 

[৩] ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় অস্বস্তিতে রয়েছে । তার দুর্বল অবস্থাটি ওয়াশিংটনের মূল সম্মেলনে ন্যাটো কর্মকর্তাদের চিন্তিত করেছে। কারণ ট্রাম্প আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় এলে ন্যাটোর ব্যাপকভাবে পরিবর্তনের শঙ্কা তাদের ঘিরে ধরেছে। সূত্র: সিএনএন

[৪] ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে দীর্ঘকাল ধরে চলমান উদ্বেগ দুই সপ্তাহ আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার নড়বড়ে বিতর্কের পারফরম্যান্সে আরো বেড়ে যায়। একাধিক মিডিয়া বলছেন বাইডেন প্রায়শই শব্দগুলিকে উচ্চারণে বিভ্রান্ত সৃষ্টি ও বাক্যগুলি শেষ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। বাইডেনের এধরনের আচরণকে ‘অসংগতিপূর্ণ’ এবং ‘অসংলগ্ন’ হিসেবে দেখছেন তারা। 

[৫] পলিটিকোর মতে, বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ বাইডেনের এহেন পরিস্থিতিতে শঙ্কিত ও ক্রমবর্ধমানভাবে উদ্বিগ্ন। একজন পশ্চিমা কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা শুনে ইউরোপে থাকা খুব অদ্ভুত অনুভূতি, এবং আপনি মুক্ত বিশ্বের নেতার কথা শোনার জন্য উচ্ছ্বসিত হওয়ার চেয়ে স্ক্রিপ্ট থেকে সরে যাবেন কিনা তা নিয়ে আপনাকে বেশি চাপ দিতে হচ্ছে। 

[৬] এমনকি বাইডেনের সহযোগী ও ডেমোক্রেট কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে স্বীকার করেছেন বাইডেনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এক ডজনেরও বেশি হাউস ডেমোক্রেট বাইডেনকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। 

[৭] কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনের প্রেসিডেন্ট ইমেরিটাস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক রিচার্ড হাস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চারপাশের কর্মকর্তাদের কাছে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে আসার অনুরোধ করতে বলেছিলেন। 

[৮] সিএনএন বাইডেনের মানসিক ক্ষমতা সম্পর্কে দুই ডজনেরও বেশি বেনামী দাতা, মিত্র, বর্তমান এবং প্রাক্তন গণতান্ত্রিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছে, তারা সবাই বলছেন, বাইডেন স্বাভাবিকের চেয়ে কম সচেতন ছিলেন। বাইডেনকে নিয়ে উদ্বেগ তার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রসারিত হয়েছে। সম্পাদনা: এম খান